আল্লাহর লানত হোক তাদের উপর যারা মুহাম্মদের সন্তানকে এ ভাবে হত্যা করেছে।
সিবতে ইবনে জওযি তার ‘তাযকিরাহ’-তে বর্ণনা করেছেনঃ যখন ইমাম হুসাইন (আ.) দেখলেন তারা তাঁকে হত্যা করবেই,তিনি কুরআন আনলেন এবং তা খুলে মাথার উপর রাখলেন এবং উচ্চ কণ্ঠে বললেন, “আল কুরআন এবং আমার নানা, আল্লাহর রাসূল (সা.) হলেন আমার ও তোমাদের মধ্যে বিচারক। হে জনতা, কিভাবে তোমরা আমার রক্ত ঝরানোকে বৈধ মনে করছো? আমি কি তোমাদের নবীর নাতি নই? আমার নানা থেকে কি হাদীস পৌঁছায়নি তোমাদের কাছে আমার ও আমার ভাই সম্পর্কে যে আমরা জান্নাতের যুবকদের সর্দার? যদি সন্দেহ থাকে তাহলে জিজ্ঞেস করো জাবির (বিন আব্দুল্লাহ আনসারি)-কে, যায়েদ বিন আরকামকে এবং আবু সাঈদ খুদরীকে। জাফর তাইয়ার কি আমার চাচা নন? ….” শিমার উত্তর দিলঃ “খুব শীঘ্রই তুমি জ্বলন্ত আগুনের (জাহান্নামের) দিকে দ্রুত যাবে।” (আউযুবিল্লাহ)। ইমাম বললেনঃ “আল্লাহু আকবার, আমার নানা আল্লাহর রাসূল (সা.) আমাকে জানিয়েছেন যে তিনি দেখেছেন একটি কুকুর তার গলা পূর্ণ করছে তার আহলুল বাইত (আঃ) এর রক্ত দিয়ে এবং আমি বুঝতে পারছি সেটি তুমি ছাড়া কেউ নয়।” শিমার বললোঃ “আমি শুধু জিহ্বা দিয়ে আল্লাহর ইবাদত করবো, যদি আমি বুঝি তুমি কী বলছো।” ইমাম হুসাইন (আ.) ফিরে দেখলেন তার শিশুপুত্র পিপাস