পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইমাম হােসেইন (আ.)-এর প্রতিরক্ষায় জিনদের সেনাবাহিনী।

ছবি
  বেশ কিছু সংখ্যক মুসলমান জিনের দল ইমাম হােসেইন (আ.)-এর কাছে এলাে এবং বললােঃ “হে আমাদের অভিভাবক, আমরা আপনার অনুসারী ও সাহায্যকারী; আর আমরা আপনার আদেশ পালন করবাে, তা যা-ই হােক। আপনি যদি চান আমরা এখানে থামবাে এবং আপনার সব শত্রুকে হত্যা করবাে।” ইমাম বললেনঃ “আল্লাহ তােমাদের ভালাে পুরস্কার দিন, তােমরা কি কোরআন পড়াে নি যা আমার নানার কাছে নাযিল হয়েছিলাে; যেখানে বলা হয়েছেঃ “তােম রা যেখানেই থাকো, মৃত্যু তােমাদের ধরে ফেলবে, এমনও যদি হয় তােমরা উচু (ও শক্তিশালী) ইমারতে থাকে না কেন।”-(সূরা নিসা: ৭৮) এবং বলা হয়েছেঃ “যাদের জন্য কতল হওয়া নির্ধারিত হয়েছে তারা অবশ্যই সে জায়গায় চলে যেতে যেখানে তারা (এখন নিহত হয়ে) পড়ে আছে।” তাই আমি যদি এখানে থেকে যাই, কিভাবে এ হতভাগ্য জাতিকে পরীক্ষা করা হবে? এবং কে কারবালায় আমার কবরে শুয়ে থাকবে? যখন আল্লাহ পৃথিবী সম্প্রসারণ করলেন (সে দিন) তিনি আমার জন্য সেই ভূমি পছন্দ করলেন এবং একে আমার অনুসারীদের আশ্রয়স্থল বানিয়েছেন যেন তারা সেখানে শান্তি খুঁজে পায় এ পৃথিবীতে এবং আখেরাতে। আমার কাছে এসাে শনিবার দিন, কারণ আমি সপ্তাহের শেষে দশ তারিখে শহীদ হবাে। আমার পরিবা

তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই❓

ছবি
  ইমাম হোসাইন (আঃ) কারবালার ময়দানে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ইসলামের বাগানকে উর্বর করে গেছেন। সেই কারবালার ময়দানকে কেন্দ্র করে মু’মিনদের উদ্দেশ্যে আল্লামা ইকবাল বলেছেনঃ “নকশে ইল্লাল্লাহা বার সাহারা নবীস/সাত্রে উনুয়া সে নাজাতে মা নবীস” ইমাম হোসাইন (আঃ) ৬১ হিজরীর ১০ মহররম কারবালার ময়দানে ‘লা ইলাহা ইল ্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র তৌহিদী নকশা এঁকেছেন। সে নকশা আঁকার জন্য আমার মাওলার কাছে কোনো কাগজ ছিল না,কারবালার জমিনকে তিনি কাগজ বানিয়েছেন।মাওলার হাতে সেদিন লেখার কোনো কলম ছিল না,নিজের কলবকে কলম বানিয়েছেন,হাতে কালি ছিল না,নিজের বুকের তাজা রক্তকে কালি বানিয়ে এমন এক নকশা অঙ্কন করেছেন যা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারীদের দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা, আর অনাগত মুসলমানদের মনজিলে মাকসুদে পৌঁছার আলোকবর্তিকা। কখনো কি চিন্তা করেছেন,যিনি জান্নাতের মালিক,যাদের উপর দুরুদ না পড়লে সর্বশ্রেষ্ট ইবাদত নামাজই কবুল হয় না,যাদের কে ভালবাসা কোরআন এ ফরয ও নবী মোহাম্মদ (সা:) রিসালাতের প্রতিদান সাইয়েদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইনের (আঃ) কি অভাবে আজ সপরিবারে কারবালায় ! “ইসলাম জিন্দা হোতা হায়’ হার কারবালাকে বা’দ”অর্থাৎঃ ইসলাম

ইমাম হােসেইন (আ.)-এর সাথে ফেরেশতাদের কথাবার্ত।

ছবি
শেইখ মুফীদ তার বর্ণনার ক্রম সূত্র উল্লেখ করে বলেছেন যে, ইমাম জাফর আস সাদিক (আ.) বলেছেন, যখন ইমাম হােসেইন (আ.) মদীনা ত্যাগ করলেন, বিশেষ চিহ্নসহ একদল ফেরেশতা পথে সাক্ষাৎ করলাে। তারা তাদের হাতে তরবারি বহন করছিলাে এবং বেহেশতের ঘােড়ায় চড়েছিলাে। তারা ইমামের কাছে এসে তাকে অভিবাদন জানালাে এবং বললাে, “হে সৃষ্টির ওপরে আল্লাহর প্রমাণ, আপনার নানা, বাবা ও ভাইয়ের পরে, মহান আল্লাহ, যিনি আমাদের মাধ্যমে তার অনেক যুদ্ধে আপনার নানাকে সাহায্য করেছিলেন, তিনি এখন আমাদের পাঠিয়েছেন আপনাকে সাহায্য করার জন্য।” ইমাম বললেনঃ “প্রতিশ্রুত সেই ভূমি হচ্ছে কারবালা, তাই তােমরা সেখানে আমার কাছে আসতে পারাে।” তারা বললােঃ “হে আল্লাহর প্রমাণ, আপনার যা ইচ্ছা আদেশ করতে পারেন এবং আমরা তা সম্পাদন করবাে ও আপনাকে মেনে চলবাে। আপনি যদি শত্রুকে ভয় পান আমরা তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে রক্ষা করবাে।” ইমাম বললেনঃ “আমার বিরুদ্ধে তারা কোন পথ পাবে না এবং তারা আমাকে কোন ক্ষতিও করতে পারবে না যতক্ষণ না আমি আমার (নির্ধারিত) মাযারে পৌছি।” গ্রন্থসূত্রঃ শােকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড) লেখকঃ আল্লামা আব্বাস বিন মুহাম্মাদ রেযা আল কুম্মি।

ইমাম হুসাইন (আ.) সর্বদা তাঁর মুসিবতে ক্রন্দনকারী জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ছবি
ইমাম জাফর বিন মুহাম্মদ (আ.) [সাদিক] এর জীবনীতে রেওয়ায়েত করা হয়েছে যে, যখন মহররম মাসের চাঁদের উদয় হত তখন তিনি অত্যাধিক দুঃখ ভারাক্রান্ত হতেন এবং ইমাম হুসাইন (আ.) এর উপর আপতিত মুসিবতের উপর তাঁর ক্রন্দন বৃদ্ধি পেত। আর জনগণ যে দিক হতে ও যে স্থান হতে তাঁর নিকট আসতো তারা ইমাম হুসাইন (আ.) এর (শাহাদতের) মুসিবতে তাঁকে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করতো এবং তাঁর সাথে তাঁর (ইমাম হুসাইন (আ.) এর) শোকে নওহা (শোকগাথা) পাঠ করতেন ও আযাদারী করতেন। যখন তাদের আযাদারী ও ক্রন্দন সমাপ্ত হত তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলতেনঃ হে লোকসকল ! জেনে রাখো যে, ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর প্রতিপালকের নিকট জীবিত রয়েছেন। আর তিনি যেভাবে চান সেভাবেই তাকে রুজি প্রদান করা হয়। তিনি সর্বদা তাঁর সৈন্যদলের স্থানে এবং তাঁর শাহাদতের স্থানের প্রতি দৃষ্টি দেন ও ঐ সকল শহীদদের শাহাদতের স্থানে যারা সেথায় শহীদ হয়েছিল। আর তিনি তার যায়ের (যেয়ারতকারী), তাঁর প্রতি ক্রন্দনকারী এবং যারা তার জন্য আযাদারী’র আয়োজন করে তাদেরকে দেখেন। তিনি তাদের তাদের নাম সম্পর্কে, তাদের পিতাদের নাম সম্পর্কে এবং বেহেশতে তাদের স্থান ও মর্যাদা সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী। যে ব্যক্তিই তার জন

মওলা হুসাইন (আ:) সেদিনও মাযলুম ছিলেন আজও মাযলুম!

ছবি
  ছবিতে যা দেখছেন তা হবিগঞ্জে দক্ষিন চরহামুয়া অনুষ্ঠিত মহররমের আশুরার তাজিয়া মিছিলে পাক।ইমাম পাকের স্বরণে আশুরার শোক প্রকাশের সংস্কৃতি যুগে যুগে জুলমাতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে সত্যপন্থী মানুষকে প্রেরণা যুগিয়েছে। ইয়াদগিরী কায়েম করার কোরআনে পাকের নির্দেশ রয়েছে। আমরা দেখতে পাই আজও হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর ছুন্নত পালন করছি। ছাফা মারওয়াতে দৌড়াচ্ছি। কোরবানী করছি।কিংবা শয়তান এসে হযরত ইসমাঈলকে কোরবানি করতে নিষেধ করছে বলেই আমরা ঢিল মারছি। মহররমের যে তাজিয়া [দুলদুল,দালান বা ঘর] তৈরী করা হয় "ফতোয়া নায়েমিয়া” নামক বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাবের ৫ ও ৬ পৃষ্ঠায় জায়েজ বলে উল্লেখ আছে তার বিরুদ্ধেও ফতোয়া ❗️ এসব নাপাক কুলাঙ্গারগুলাকে দেখলে বিশ্বাস হয় যে সেই যুগেও ইয়াযিদের পোষা তিনশত জন রাজ দরবারী মুফতি হযরত মাযলুম ইমাম হুসাইন (আঃ) কে হত্যা করা ফরজ বলে ফতোয়া দিয়েছিল! মওলা হুসাইন (আ:) সেদিনও মাযলুম ছিলেন আজও মাযলুম! অসীম লানত আহলে বাইত বিদ্বেষী সৌদী পোষা এসব দুর্গন্ধময় নর্দমার কীটগুলোর উপর! — সৈয়দ হোসাইন উল হক

জন্মগত ইনসানী ফিতরৎ ও আযাদারী।

ছবি
  কান্না মানুষের ফিতরৎ। দুনিয়াতে আসার অর্থাৎ জন্ম নেওয়ার পর সংগে সংগেই সেই ফিতরৎ এসে পড়ে। শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েই কাদে, হাসে না। শিশু যদি জন্মের সাথে সাথে চীৎকার দিয়ে না কাঁদে তখন ডাক্তার তার পিঠে থাপ্পড় মেরে হলেও কাঁদায়।কাজেই এ ফিতরৎ পেছনে অবশ্যই কোন না কোন যুক্তি আছে।দেখুন,মা নুষ এজন্যেই মানুষ যে তার বিচার–বিবেচনাশক্তি ,আবেগ,উপলব্ধি,দয়া–মায়া,আনন্দ–বেদনা আর সহানুভূতিবোধ আছে। তাই মানুষ হাসে আবার কাঁদে। কখনো রাগ করে, কখনো করে অভিমান। এইসব অভিব্যক্তি মানুষের সুস্থতার অনুভূতিকেই প্রকাশ করে। কারো মাথায় যদি বিশ কেজি ওজনের একটা পাথর পড়ে আর ঐ ব্যক্তিটি যদি কিছুই হয় নি এরকম একটা ভাব করে আগের মতোই স্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে তার সুস্থতার ব্যাপারে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে পারে।মানুষের কাছে সবচে প্রিয় হলো তার পরিজন। মানুষের কাছে সবচে প্রিয় হলো তার পরিজন।ধরা যাক ঈদের দিন আনন্দমুখর উৎসবের মুহুর্তে হঠাৎ আপনার পরিবারের একজনের মৃত্যুর সংবাদ পেলেন,তখন কি আগেকার মতোই স্বাভাবিক থাকবেন ! যদি থাকেন,তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান আপনাকে হাসপাতালে পাঠাতে বলবে। কারণ আপনি সুস্থ নন।কেননা,প্রিয়জনকে হারিয়ে কেউ স্বাভাবিক থাকতে পারে ন

মাতম কোনো তামাশা নয়

ছবি
  মহান আল্লাহ্ বলেছেন,আয়াতে মুওয়াদ্দাতঃ ‎ قُلْ لَا أَسْئَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْراً إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِيْ الْقُرْبَی "বলেদিন (হে নবী), চাইনা কিছু (রেসালাতের )প্রতিদানে শুধু মাত্র আমার নিকটতম আত্নীয়র মুআদ্দাত ব্যতীত।"-(সূরা শূরাঃ আয়াত ২৩) কিয়ামতের দিন রাসূলের আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। মহান আল্লাহ্ বলেন, وَقِفُوْهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُوْلُوْنَ ‘তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে।( সূরা সাফ্ফাতঃ ২৪) উপরিউক্ত আয়াতের বিষয়ে সিবতে ইবনে জাওযী মুজাহিদ হতে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন রাসূলের আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।(তাযকিরাতুল খাওয়াস,পৃঃ ১০) ইমাম হােছাইন (আঃ) তার মহান ব্যক্তিত্ব ও বীরোচিত শাহাদাতের কারণে লাখো লাখো মানুষের হৃদয়ের গভীরতম আবেগকে উদ্বেলিত করেছেন। যদি ইমাম হােছাইন (আঃ) মানসিকতা ও চিন্তাধারার সমন্বয় সাধন করতে চান তা হলে তারা আবেগের এ অফুরন্ত ভান্ডারকে কাজে লাগাতে পারেন এবং সমস্ত পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ করতে পারেন। হজরত ইমাম হােছাইন (আঃ)-এর অমরত্বের মূল রহস্য হচ্ছে, একদিকে তার আন্দােলন ছিল ন্যায়ভিত্তিক ও যুক্তি নির্ভর। অপরদিকে এ আন্দ

ওরা বলে কোরআন থেকে মাতম দেখাও!

ছবি
  [ওরা বলে কোরআন থেকে মাতম দেখাও ! ওরা বলে, কোরআন থেকে ইয়া হুসাইন,ইয়া হুসাইন (আঃ) দেখাও ! ওরা বলে,শহীদ জিন্দা তাই জীবিতদের শোক পালন করা যায়না ! ওরাই আবার বলে বেড়াচ্ছে শোক তিন দিনের বেশি পালন হারাম !] দরবারি মুল্লা মৌলভী এবং মুফতিরা ইমাম হুসাইন (আঃ)’এর শোক পালন ও মাতমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে।কিছু জাল হাদীস সংগ্রহ করে সাধরণ মুসলমানকে ধোঁকা দিতে চাচ্ছে।তাঁরা দাবি করেছে রস ুল (সা) নাকি বলেছেন কারো মৃত্যুতে ক্রন্দন করা যাবেনা।তিন দিনের বেশি শোক পালন করা যাবে না ,তাহলে ১৪০০ ধরে কেনো হোসাইনিরা ইমাম হুসাইন(আঃ)’এর শোক ও মাতম পালন করে ! তাঁরা কেনো নিজের গায়ে আঘাত করে নিজের শরীরকে কষ্ট দেয় ! হোসাইনিরা কি জানেনা শরীর আল্লাহর নেয়ামত শরীরের যত্ন করা জরুরি তাহলে কেনো হোসাইনিরা নিজেদের বুক থাবড়ায় ! হোসাইনিরা যদি ইমাম হুসাইন (আঃ)’এর মৃত্যুতে এতোই মাতমের পাগল তাহলে হোসাইনিরা জানেনা শহীদ জিন্দা জিন্দাদের মাতম হয়না! উপরোক্ত সকল ধরনের ফেতনা ফাসাদের জবাব আমাদের কাছে আছে,আমরা সাকিফার বন্ধ ঘর থেকে ইসলাম শিখিনি আমরা ১৪ মাসুম (আঃ)’এর আঙ্গিনা থেকে ইসলাম শিখেছি । মূল্লারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে

যিয়ারত- এ হযরত আলী আকবর(আঃ) আরবী ও বাংলা উচ্চারণ

ছবি
  বাংলা উচ্চারণঃ “ আসসালামু আলাইকা ইয়াবনা রাসুলিল্লাহি আসসালামু অলাইকা ইয়াবনা নাবিয়্যিল্লাহি আসসালামু আলাইকা ইয়াবনা আমিরাল মু’মিনিনা আসসালামু আলাইকা ইবনাল হুসাইনিশ শাহীদ আসসালামু আলাইকা আইয়ুহাশ শাহিদু ওয়াবনাশ শাহিদু আসসালামু আলাইকা আইয়ুহাল মাজলুমু ওয়াবনুল মাজলুমি লাআ’নাল্লাহু উম্মাতান ক্বাতালাতকা ওয়া লাআ’নাল্লাহু উম্মাতান যালামাতাকা ওয়া লাআ’নাল্লাহু উম্মাতান সামিয়া’ত বি যালিকা ফারাযিয়াত বিহী। ”

যিয়ারত-এ আশুরা আরবি, বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

ছবি
“জিয়ারাতে আশুরা” আল্লামা শেইখ তুসীর ‘মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ’ গ্রন্থ ও মরহুম নুরী (রহ.) ‘নাহজুল সিকাব’ নামক গ্রন্থ।এবং ইবনে কৃাওলায়েহ-র কামিলুজ জিয়ারাত’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়াও আল্লামা আব্বাস কুম্মির ‘মাফাতিহুল জিনান গ্রন্থসহ অনেক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।এটা এমন একটি জিয়ারত যা পড়ার জন্য স্বয়ং ইমাম হুসাইন (আ.) নির্দেশ দিয়েছেন । তাই নিয়মিত এ জিয়ারতটি পাঠ করা উচিত।  শেইখ তুসী (রহ.) হতে ‘মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছেঃ রাবী পঞ্চম ইমাম হযরত বাকের(আ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি মহররম মাসের দশ তারিখে হযরত ইমাম হুসাইন(আ.)এর মাজার জিয়ারত করে এবং তাঁর পবিত্র মাজারের কাছে অশ্রুপাত করে, তাহলে কিয়ামতের দিনে তাকে এমন অবস্থায় প্রভুর সাক্ষাতে উপস্থিত করা হবে যে তার কৃতকর্মের হিসাবে দু’হাজার হজ্জ, দু’হাজার ওমরাহ্ ও দু’হাজার জিহাদের সওয়াব লেখা থাকবে। এ সময় পুনরায় ইমামকে প্রশ্ন করা হল যে, এ সওয়াবের সৌভাগ্য তো কেবল কারবালার অধিবাসীরাই পাবেন। কারণ, যারা কারবালা নগরী থেকে দূরে অবস্থান করছেন তারা কিভাবে আশুরার দিনে ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাজার জিয়ারত করে

মুখে তসবিহ ‘কিতাবুল্লাহ’ অন্তরের ‘রিজালুল্লাহ’।

ছবি
রাসূল (সাঃ) একদিন মসজিদে নববীতে আসরের নামাজ পড়াচ্ছিলেন ।নবীজী (সাঃ) যখন সেজদায় গেলেন , হঠাৎই হযরত ইমাম হোসাইন(আঃ) তাঁর প্রিয় নানাজীর (সাঃ) পিঠের মোবারকের উপর উঠে বসে পড়লেন ।ছোট্ট নাতি খেলার ছলে নানার পিঠে উঠে পড়েছে ।সেজদাকালীন সময় মহানবী (সাঃ) নাতি হোসাইন (আঃ) কে পিঠ থেকে নামাতেও পারছেন না।পাছে পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে নাতি যদি ব্যাথ্যা পায় !কেননা ছোট্ট দুই নাতি ইমাম হাসান (আঃ) ও ইমাম হোসেনকে (আঃ) মহানবী (সাঃ) প্রচন্ড মহব্বত করতেন । তাঁদেরকে কেউ কষ্ট দিলে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অন্তরে খুব ব্যাথ্যা পেতেন।এদিকে নাতিও পিঠ থেকে নামছেন না।মহানবী (সাঃ) এর সেজদাও প্রলম্বিত হচ্ছে ।সেজদা এতটাই দীর্ঘায়ীত হচ্ছিল যে , অনেক সাহাবী তখন নিজ সেজদা থেকে মাথা খানিক উঁচু করে দেখছিল যে , এরকম অস্বাভাবিক দেরী হচ্ছে কেন ?যারাই মাথা তুলছিলেন তারাই দেখছিলেন যে , এক নূরের উপরে আরেক ছোট্ট নূর সওয়ারী হয়েছে । তৎক্ষনাত তারা পুনরায় সেজদাতে চলে গেলেন যতক্ষন নবীজী (সাঃ) নিজে সেজদা থেকে না উঠছেন । আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) এর সেজদায়, নামাজ একমাত্র আল্লাহর জন্য।সেজদারত অবস্থায় নাতি উঠেছে নানার পিঠে।সেজদা আদায় করার সময় অতিক্রান্ত