মাতম কোনো তামাশা নয়

 


মহান আল্লাহ্ বলেছেন,আয়াতে মুওয়াদ্দাতঃ

‎ قُلْ لَا أَسْئَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْراً إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِيْ الْقُرْبَی

"বলেদিন (হে নবী), চাইনা কিছু (রেসালাতের )প্রতিদানে শুধু মাত্র আমার নিকটতম আত্নীয়র মুআদ্দাত ব্যতীত।"-(সূরা শূরাঃ আয়াত ২৩)
কিয়ামতের দিন রাসূলের আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। মহান আল্লাহ্ বলেন, وَقِفُوْهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُوْلُوْنَ ‘তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে।( সূরা সাফ্ফাতঃ ২৪) উপরিউক্ত আয়াতের বিষয়ে সিবতে ইবনে জাওযী মুজাহিদ হতে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন রাসূলের আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।(তাযকিরাতুল খাওয়াস,পৃঃ ১০)
ইমাম হােছাইন (আঃ) তার মহান ব্যক্তিত্ব ও বীরোচিত শাহাদাতের কারণে লাখো লাখো মানুষের হৃদয়ের গভীরতম আবেগকে উদ্বেলিত করেছেন। যদি ইমাম হােছাইন (আঃ) মানসিকতা ও চিন্তাধারার সমন্বয় সাধন করতে চান তা হলে তারা আবেগের এ অফুরন্ত ভান্ডারকে কাজে লাগাতে পারেন এবং সমস্ত পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ করতে পারেন। হজরত ইমাম হােছাইন (আঃ)-এর অমরত্বের মূল রহস্য হচ্ছে, একদিকে তার আন্দােলন ছিল ন্যায়ভিত্তিক ও যুক্তি নির্ভর। অপরদিকে এ আন্দােলন প্রচন্ড আবেগের সৃষ্টি করেছিল।তাই মহান আয়েম্মাগন হজরত ইমাম হােছাইন আঃ) জন্য বিলাপ করতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।কারণ এ কান্না এ বিলাপই তার আন্দোলনকে জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত করে দিয়েছে। আমরা আবারও বলছি, হায় আমাদের মুছল্লিবৃন্দ যদি আবেগের দুর্মুল্য সম্পদকে ব্যবহার করতে পারতেন।
মাতম কোনো তামাশা নয়,আগে নবী ও আলে নবীর প্রেমে নিজেকে উৎসর্গ করেন তখন আপনাকে মাতম করতে হবে না। উনাদের কষ্টে আপনাদের বাধ্য করবে মাতম করার জন্য।মাতমের সম্পর্কটা শুরু হয় প্রেম থেকে,এক জনের সাথে আরেক জনের যখন প্রেম হয়ে যায় তখন সে নিজ মুহিবের সুখে সুখ এবং কষ্টে দুঃখ প্রকাশ করে।
— সৈয়দ হোসাইন উল হক

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আল্লাহর লানত হোক তাদের উপর যারা মুহাম্মদের সন্তানকে এ ভাবে হত্যা করেছে।

তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই❓