আজ ১৮ ই জিলহজ্ব ইসলামের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মহাখুশির দিন। দশম হিজরির এই দিনে বিদায় হজ্ব থেকে ফেরার পথে, সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজেল হওয়ার পর রাসুলে খোদা (সা.) গাদিরে খুম নামক স্থানে এক লাখ বিশ হাজারেরও বেশি হজ্ব ফেরৎ হাজী সাহাবাগনের সম্মুখে মাওলা আলীকে (আঃ)-কে আল্লাহর খলিফা ও মুমিন উম্মাহর ইমাম হিসাবে নিযুক্ত করে নিজের স্থলাভিষিক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন।এই ঘোষণার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে তাঁর মনোনীত পরিপূর্ণ চুরান্ত ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দান করেন। এই দিনটি ঐতিহাসিক গাদীর দিবস বা ঈদে গাদীর হিসেবে খ্যাত।এই দিনটি মুমিন উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন।তাই সকল আহলে বায়াত প্রেমিক মুমিন মুসলমানদের জন্য এই দিন মহা ঈদ হিসাবে গণ্য হয়। কারণ ঈদ মানে হলো আনন্দ ও উৎসব। তাই আহলে বায়াতের গোলামরা মাওলার অভিষেক দিনটি মহা ঈদ হিসাবে পালন করে থাকে। সাওম ও এতেকাফের কামিয়াবীর কারনে ঈদুল ফিতরের আনন্দ, আর ত্যাগ ও তাকওয়ায় কামিয়াবীর কারনে ঈদুল আযহার আনন্দ; আর ঈদে গাদিরে খুমের আনন্দ দ্বীন ইসলামের পূর্ণতার কারনে।এমন কোনো নবী মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত হননি যিনি এ দিবসটিকে ( ১৮ যিল হজ্জ ) ঈদ হিসেবে উদযাপন করেননি এবং এ দিবসের মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন না। আসমানে এ দিবসের নাম প্রতিশ্রুত প্রতিজ্ঞার দিবস( রোয-ই আহদ-ই মওঊদ ) এবং জমিনে এর নাম রোয-ই মীসাক ( প্রতিশ্রুতির দিবস)।

ইমাম জাফর আস-সাদিক (আ.)-বলেছেনঃ

মুসলমানদের একটি ঈদ আছে যার মর্যাদা অন্য সব ঈদের চেয়েও বেশি।আর তা হচ্ছে ঐ দিন যে দিন মহানবী (সা) হযরত আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ)-কে খিলাফতে অধিষ্ঠিত করেন এবং বলেন, আমি যার মওলা ও নেতা আলী তাঁর মওলা ও নেতা।

সুত্র:-মাফাতীহুল জিনান, পৃঃ ৫০২।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যিয়ারত-এ আশুরা আরবি, বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ

তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই❓

ইমাম হােসেইন (আ.)-এর প্রতিরক্ষায় জিনদের সেনাবাহিনী।